ডিজিটাল ঘটক ! ঘটক প্রথা বিষয়টি বলতে আমরা জানি গ্রামে গ্রামে একটি ঘটক, সাদা পাঞ্জাবি পড়ে, হাতে ছাতা নিয়ে, মাথায় টুপি দিয়ে, পান খেয়ে ছেলে মেয়ের ছবি ও বায়োডাটা নিয়ে ঘুড়াকে বুঝি। দিনের পর দিন ঘরে ঘরে গিয়ে ছেলে-মেয়ের বাবা, মা ও নিকট আত্মীয় এর কাছে প্রস্তাব দেওয়ার প্রক্রিয়া করে থাকে। দিনের পর দিন ঘুরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বহন করে বিয়ের নির্ধারণ করার পূর্ব প্রক্রিয়া এই ঘটক এর মাধ্যমেই হয়ে থাকে। বিয়ে হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার রহমত ও পবিত্র সম্পর্ক। এই সম্পর্কের সাথে যারাই পরোক্ষ ও প্রতক্ষ্য ভাবে জড়িত থাকে তাদের আল্লাহ সওয়াব দান করেন। তাই বিয়ে সঠিক সময়ে ও ঠিক বয়সে বিয়ে করাই হচ্ছে মুমিনের কাজ।
ডিজিটাল ঘটক কি?
ডিজিটাল ঘটক প্রথা হচ্ছে অনলাইনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের প্রমোশনাল কার্যক্রম ব্যবহার করে মনের মত পাত্র/পাত্রী খুঁজে দেওয়ার সঠিক মাধ্যম। বর্তমান সময়ে মানুষ আধুনিকতার ছোঁয়ায় নিজেকে উন্নত করছে তাই এই আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে সবাই নিজের মত করে জীবন সঙ্গীও খুঁজে পেতে চায় এই অনলাইন মাধ্যমে। সারাদিন নিজেকে কাজে ব্যস্ত রেখে বাসায় গেলে কি যেন এক শূন্যতা অনুভব করা লাগে আর তা হচ্ছে সঙ্গী। তাই বর্তমান যুগে অনলাইন হচ্ছে পাত্র/পাত্রী খুঁজে পাবার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম।
অফলাইন ঘটক ও ডিজিটাল ঘটক এর মধ্যে তফাৎ কি?
অফলাইন ঘটক ও ডিজিটাল ঘটক এর মধ্যে তফাৎ হলো সরাসরি বাড়ী বাড়ী গিয়ে ছেলে মেয়ের বায়োডাটা আদান-প্রদান করার মাধ্যম আর ডিজিটাল ঘটক হলো সম্পূর্ণ অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে ডিজিটালি পাত্র/পাত্রীর বায়োডাটা আদান-প্রদান করার মাধ্যম। বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচলিত ঘটক প্রথার যে বাস্তব চিত্র দেখা যায় তা হচ্ছে সরাসরি ঘটকালি এর মাধ্যম। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে মানুষের চালচলনের ধারায় এই প্রথা কিছুটা বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে। সবাই এখন যুক্ত হচ্ছে অনলাইন মাধ্যমে। যার সাথে সাথে বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যম ব্যবহার করে নিমিষেই সকল ধরনের, সকল প্রকার পাত্র/পাত্রীর ছবি নেওয়া যায়। কিন্তু গ্রাম-গঞ্জে অনেক মানুষ এখনও প্রচলিত ঘটক প্রথার উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হয়ে আছে, যা তাদের পরিচিত এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। তাই বলা যায় অফলাইন ঘটক ও ডিজিটাল ঘটক দুই মাধ্যমই হচ্ছে মানুষের অন্যতম বিয়ের মাধ্যম।
নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল ঘটক?
বাংলাদেশে বর্তমানে হাজারও অনলাইন ডিজিটাল ঘটক প্রথার চালু হয়ে গিয়েছে। যাকে আমরা ম্যারেজ মিডিয়াও বলে থাকি। সময়ের সাথে সাথে মানুষের রুচির যেমন পরিবর্তন হয়েছে, ঠিক বিয়ের জন্য পাত্র/পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রেও রয়েছে নানাবিধ পছন্দ ও চাহিদা। বিশেষ করে সৎ ও বিশ্বস্ততা বজায় রেখে আস্থা অর্জন করা সকল ম্যারেজ মিডিয়া এর জন্য কঠিন হয়ে পড়ে, যার কারণেই অনেকে এই ম্যারেজ মিডিয়াকে প্রতারণার নতুন ফাঁদ বলে আখ্যায়িত করে। ফলে এই ম্যারেজ মিডিয়া গুলো হয়ে উঠে প্রশ্নবিদ্ধ। কিন্তু তার মধ্যেও একটি প্রতিষ্ঠান যার নাম \”ম্যারেজ সলিউশন বিডি\” এই ধরনের প্রতরণা মুক্ত সম্পূর্ণ সততা বজায় রেখে নিজেদের ম্যারেজ মিডিয়া খাতে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছে।
ম্যারেজ সলিউশন বিডি কি?
প্রচলিত ঘটক প্রথা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ও অনলাইনে ডিজিটাল মাধ্যমে মনের মত পাত্র/ পাত্রী খোঁজার নির্ভরযোগ্য মাধ্যম ম্যারেজ সলিউশন বিডি। ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠা হবার পর থেকেই ম্যারেজ সলিউশন বিডি একটি সামাজিক ও বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ম্যারেজ মিডিয়া হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে। এই একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের সকল হাই প্রোপাইল ব্যাক্তিগণ তাদের ছেলে-মেয়েদের বিয়ে ও তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট অনেকের আস্থার জায়গা এই ম্যারেজ সলিউশন বিডি। আকিজ গ্রুপ, মুন্নু গ্রুপ, উত্তরা মটরস, গ্লোব ফার্মা, গোল্ড স্টার, প্রিন্স গ্রুপ, চৈতী গ্রুপ, নোমান গ্রুপ সহ দেশের স্বনাম ধন্য প্রতিষ্ঠানের মালিক ও সংশ্লিষ্ট সবার আস্থা অর্জন ম্যারেজ সলিউশন বিডির প্রধান শক্তি। অনেক জায়গায় যেখানে বিশ্বাস অর্জন করা অনেক কঠিন সেখানে ম্যারেজ সলিউশন বিডি এই আস্থা অর্জন করে বাংলাদেশের নাম্বার ১ মেট্রিমোনিয়াল প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছে। তাই ম্যারেজ সলিউশন বিডি প্রতিযোগিতার বাজারে সবচেয়ে এগিয়ে।
ম্যারেজ সলিউশন বিডি এর কাজ কি?
ম্যারেজ সলিউশন বিডি বাংলাদেশের সমসাময়িক ঘটক প্রথা থেকে আলাদা ও সততা বজায় রেখে বাংলাদেশের সেরা ও একমাত্র আস্থাভাজন ডিজিটাল ঘটক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের সম্মান ধরে রাখার কারণে এই প্রতিষ্ঠানটি সকল ধরনের মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে। বাংলাদেশের ম্যারেজ মিডিয়া সেক্টরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সিভি ও বায়োডাটা (প্রায় ৫০০০) আছে ও সবচেয়ে বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ব্যাক্তিদের বিয়ে সম্পাদন করে অনন্য নজির স্থাপন করেছে। এই প্রতিষ্ঠানটির প্রসেস অনুযায়ী প্রতিটা গ্রাহককে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়, তারপর ১ বছর বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত প্রতিনিয়ত পাত্র/পাত্রীর সিভি আদান প্রদান করা হয়। আর বিয়ের পর বিবাহ ফি বাবদ কিছু টাকাও নেওয়া হয়ে থাকে। প্রতিটা কাজই হয়ে থাকে গ্রাহকের সাথে সমন্বয় করে। আর এই প্রসেসটা হয়ে থাকে গ্রাহকের নিরাপত্তা বজায় রেখে। বাংলাদেশের সমস্ত ম্যারেজ মিডিয়া যেখানে গ্রাহক যাচাই-বাছাই না করে কাজ শুরু করে দেয়, সেখানে ম্যারেজ সলিউশন বিডি শুধু উচ্চ শিক্ষিত ও হাই প্রোপাইল গ্রাহক নিয়ে কাজ করে বিধায় প্রতিষ্ঠানটি সবার পছন্দের ও আস্থার জায়গা হয়ে উঠেছে।
সুবিধা ও অসুবিধা কি?
ম্যারেজ সলিউশন বিডি গ্রাহকের জন্য রেখেছে আকর্ষণীয় সকল সুযোগ- সুবিধা, যেখানে মনের মত করে পাত্র/পাত্রী খোঁজা যাবে সহজেই ও নিরাপত্তাতো আছেই। চলুন দেখে নেই কি সুযোগ- সুবিধা আছে এখানে।
- ৫ হাজার এরও বেশী বায়োডাটা
- গ্রাহকের মনের মত ম্যাচমেকিং করে সিভি নেওয়ার সুবিধা
- প্রতিটা গ্রাহকের জন্য রয়েছে আলাদা সার্ভিস ফাইল ও আলাদা প্রতিনিধি
- ১ বছর নিরিবিচ্ছিন্ন সার্ভিস প্রদান
- অফিস ভিজিট করে রেজিস্ট্রেশন করার সুবিধা
- ম্যাচমেকিং হলে পাত্র/পাত্রীর দেখা করার সুযোগ
- স্বল্প রেজিস্ট্রেশন ফি
- হেড অফিস সহ ঢাকায় অফিস সংখ্যা ৫ টি
- আকিজ গ্রুপ, মুন্নু গ্রুপ, উত্তরা মটরস, গ্লোব ফার্মা, গোল্ড স্টার, প্রিন্স গ্রুপ, চৈতী গ্রুপ, নোমান গ্রুপ সহ দেশের স্বনাম ধন্য প্রতিষ্ঠানের মালিক ও সংশ্লিষ্ট অনেকের বিবাহ সম্পাদন
- শতভাগ নিরাপত্তা বজায় রেখে কাজ
- বিবাহ পরবর্তী সময়ে ম্যারেজ কাউন্সিলিং সেবা প্রদান, সহ আরও অনেক সুবিধা রয়েছে।
পরিশেষে, বর্তমানে সমসাময়িক ম্যারেজ মিডিয়া থেকে আলাদা বিবাহ সমস্যার সমাধান হতে পারে ম্যারেজ সলিউশন বিডি। হতে পারে মনের মত পাত্র/পাত্রী খুঁজে পেতে ও বিবাহ সম্পর্কিত সকল সমস্যার সমাধান। বিবাহযোগ্য পাত্র/পাত্রীর জন্য ম্যারেজ সলিউশন বিডি হতে পারে আস্থার সমাধান। অন্যান্য ম্যারেজ মিডিয়া না ঘুরে সফল ও বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠানে আপনার সিভি দিন ও রেজিস্ট্রেশন করে গ্রাহক হয়ে যুক্ত হতে পারেন। তাইতো সবাই বলে \”ম্যারেজ সলিউশন বিডি\”, মনের মত পাত্র/পাত্রী খোঁজার নির্ভরযোগ্য সমাধান।
[/et_pb_text][/et_pb_column][/et_pb_row][/et_pb_section]